এক বাবা সন্তানে গল্প
গল্পটি ছিল এমন.....
baligha. খাবার টেবিলে বসে সজল মায়ের দিকে তাকিয়ে চোখে ইশারা করলো তার কথা বাবাকে বলতে। তখন মা ভয়ে ভয়ে বাবার দিকে তাকিয়ে বললেন, ছেলে ১০ হাজার টাকা চেয়েছিলো।
ওরা বন্ধুরা মিলে ৩ দিনের জন্য সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে যাওয়ার জন্য
বাবা সজলের দিকে তাকিয়ে বললেন কবে যাবি?
সজল উওর দিল এই তো পাঁচ দিন পর যাবো,
বাবা্ নিচের দিকে তাকিয়ে খেতে খেতে বললেন তাহলে এক কাজ কর তিন দিন একটু দোকানে সময় দে।
আমি তিন দিনের জন্য একটা জাইগায় যাবো এসে তোর টাকাটা দিবো
সজল খুশিতে হাসতে হাসতে বললো ঠিক আছে বাবা।
পর দিন সকালে সজল দোকানে গেলো তার বাবার ছোটখাটো একটা কাপড়ের দোকান আছে মাঝে মাঝে সজল দোকানে আসলেও তার কখনো দোকানে বসা হয় নি। আজকেই প্রথম দোকানে বসলো সজল
দোকানে দু জন কর্মচারী আছেন তারা তাকে সব বুঝিয়ে দুচ্ছেন তার কাজ হলো কোন কাপড়ে কতো টাকা লাভ হয়েছে তা খতায় লিখে রাখা আর মাঝে মাঝে কাস্টমারদের কাপড় দেখানো।
একজন ক্রতাকে ২০ টার মতো শার্ট দেখানোর পর ক্রেতা বললো না ভাই পছন্দ হয়নি।
সজল অবাক হয়ে বললো এতগুলো শার্টের মাঝরও পছন্দ হয় নি? উনি বললেন না। মুখটা গোমড়া করে যখন শার্ট গুলো ঠিক করছিল তখন কর্মচারী ছেলেটা হেসে বললো ভাইয়া মুখ গোমড়া করলে হবে না যে।সবসময় মিষ্ট্রি হেসে কাস্টমার দের সাথে কথা বলতে হয়।
কিছুক্ষণ পর একটা ছেলে এসে বললো, কিছু নতুন ডিজাইনের প্যান্ট দেখান সজল কিছু দোকানের ভালো মানের প্যান্ট দেখালো একটা প্যান্ট পছন্দ করলো প্যান্টার ক্রয় মূল্য ছিল ১২০০ টাকা সজল ছেলেটার কাছে চাইলো ১৫০০ টাকা ছেলেটা প্যান্ট টা আবার উল্টে পাল্টে দেখে বললো ৩০০ টাকা দেবেন?
কথাটা শুনে সজলের মেজাজট্ খারাপ হয়ে গিলো দাঁতের সাথে দাঁত চেপে নিজের রাগটা নিয়ন্ত্রণ করে মুখে মিষ্টি হাসি দিয়ে বললো না ভাই এতো কমে হবে না যে।
কিছুক্ষণ পর এক মহিলা এসে ১ ঘন্টা ধরে দোকানের সমস্ত কাপড় চোপড় উল্টে পাল্টে দেখে ২ টা কাপড় পছন্দ করলো মহিলাটি বললো আমার স্বামী ৩ দিন পর বেতন পাবে তখন এই দুটি শাড়ি নিবো।
রাগে সজলের সারা শরীর কাঁপছিল তখন তার পরও কিছু বলতে পরছিলো না কারণ ক্রেতা কলে কথা নিজের রাগ বুকের ভিতর জমাট রেখে মুখে মুচকি হেসে বললো আন্টি আংকেল যে দিন বেতন পাবে সেই দিন আংকেল কে নিয়ে না হয় আসিয়েন।
এক ছেলে মনে হয় তার গার্লফ্রেন্ডকে নিয়ে দোকানে এসেছে কর্মচারী ছেলে গুলো যেই কাপড় দেকায় সেগুলো দেখে বলে আরো ভাল মানের দেখাতে অবশেষে কর্মচারী ছেলেটি বললো এরচেয়ে আমাদের দোকানে আর কোন ভালো মানের কাপড় নেই। ছেলেটা মুখে বিরক্তর ভাব এনে বললো দূর যা, শুদো শুদো এই রকম ফকিন্নি মার্কা দোকানে এসে সময় নষ্ট করলাম
না আর সয্য করা যায় না সজল ছেলেটাকে বললো ভাই আপনি বড় লোকের সন্তান তাহলে বড় বড় শপিং মলে বাদ দিয়ে শুধু শুধু কেনো এই সব সাধারণ শপিং মলে ঘুরে বেড়াচ্ছেন?
যখন কথা কাটা কাটি হচ্ছিলো তখন কর্মচারী ছেলেটা ঐ ছেলের কাছে মাফ চেয়ে সজলকে বললো,- ভাই এমন করলেতো ব্যবসা হবে না প্রতিদিন কতো মানুষ কতো রকমের কথা বলবে।
আপনি কাজে প্রথম এসেছে তো তাই কিছু জানেন না দিন শেষ হিসাব করে দেখলো সব খরচ বাদ দিয়ে লাভ হয়েছে ১০০০ হাজার টাকা।
সজল তিন দিন দোকানের দেখা শোনা করলো এই তিন দিনে দোকানে লাভ হয়েছে ৪৫০০ টাকা আর এই তিন দিনে যে পরিমাণ কষ্ট হয়েছে মনে হয় না যেই কষ্ট জীবনে করেছে রাতে রুমে যখন মোবাইল টিপচিলো তখন বাবা এসে বরলো এই নে তোর ১০ হাজার টাকা। সজল বাবার দিখে তাকিয়ে বললো কিসের ১০ হাজার টাকা?
তার বাবা অবাক হয়ে বললো তুই না ঘুরতে যাবি বন্ধু দের সাথে?
সজল বাবার দিকে তাকিয়ে বললো বাবা আমি আগে বুঝতাম না টাকা আয় করতে কতো টা কষ্টের তাই তোমার কাছে এতকিছু আবদার করতাম
আমি এই তিন দিনে ভালো বাভেই বুঝতে পারছি টাকা আয় করা কতো টা কষ্টের।
যেই আমি তিন দিনে ৫ হাজার টাকা আয় করতে পারলাম না সেই আম কিনা ২ দিনের জন্য ১০ জাহার টাকা চেয়ে বসলাম এতো টাকা খরচ করা আমাদের নিম্ন মধ্যবিও পরিবারের জন্য অপচয় ছাড়া আর কিছু না।
যে বাবা হাজার কষ্টের পরও সন্তানের মুখে হাসি ফোটায় খাবার টেবিলে যখন খাচ্ছিল সজল তখন বাবাকে বললো বাবা দোকানে ২ জন কর্মচারী রাখার কোন দরকার নাই আজতেকে সময় পেলে আমি দোকানে কসবো বাবা তার কথার কোন উওর দিলো না শুদু মাকে বললো তরকারিতে এতো ঝাল দিয়েছো কেন ঝালে চোখে মুখে পানি চলে এসেছে সজল জানে তরকারিতে কোন ঝাল হয় নি।
শিক্ষাঃআমাদের সকলেরি উচিতআমাদের বাবার পাশে দাড়ানো। 💟
👇👇👇👇👇👇👇
আমাদের গল্প গুলো আপনানাদের কেমন লাগে তা আমাদের কমেন্ট করে জানান
আর আমাদের গল্প গুলো ভালো লাগলে বা আমাদের গল্পের নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের কে সাবস্ক্রাইব করে আমাদের পাসেই থাকুন।
আপনারা চাইলেই আমাদের ফেসবুক পেইজ কানেক্টেড হতে পারেন
💝💝💝💝💞💞ধন্যবাদ❤❤❤❤💙💙
0 Comments