নারায়ণগঞ্জ বিস্ফোরণে ১৪ জন নিহত.
বিস্ফোরণে মসজিদে ছয় এসি পুড়ে যায়। দরজা ও জানালার কাচ ভেঙে গেছে। ছবি: তারা
স্টার অনলাইন রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জের একটি মসজিদে এ পর্যন্ত বিস্ফোরণে দুই শিশুসহ কমপক্ষে ১৪ জন নিহত হয়েছেন। আজ, শনিবার, শেখ হাসিনা ন্যাশনাল বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক মো। সামন্ত লাল সেন ডেইলি স্টারের কাছে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেছিলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ বিস্ফোরণে দগ্ধ ব্যক্তিদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৪ জন মারা গেছে। ভর্তি হওয়া বাকিদের অবস্থাও উদ্বেগজনক। বেশিরভাগের শ্বাস-প্রশ্বাসে জ্বলন্ত জ্বলন রয়েছে '
তিনি বলেন, "প্রধানমন্ত্রী ফোনে এই ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং দগ্ধ ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন।" সামন্ত লাল সেন।
নিহতরা হলেন- শিশু জুয়েল ()), মুয়াজ্জিন দেলোয়ার হোসেন (৪৮), রিফাত (১৮), মোস্তফা কামাল (৩৪), যুবায়ের (১৮), সাব্বির (২১), কুদ্দুস বাইপ্রি ()২) এবং হুমায়ুন কবির। 60), ইব্রাহিম (43), জুনেদ (18), জামাল (40), রাশেদ (30), জয়নাল (38) এবং মাইন উদ্দিন (12)। এর মধ্যে শিশু জুয়েল গত রাতে মারা যায়। তার দেহের 95 শতাংশ পুড়ে গেছে। আজ সকালে আরও দশ জন মারা গেছেন এবং অন্য একজন সকাল সাড়ে দশটার দিকে মারা গেছেন। পরে দুপুরে আরও দু'জনের মৃত্যু হয়। মোট লোকসানের ক্ষতি 14 জন।
মিজানুর রহমান (৩৫) যে মসজিদে বিস্ফোরণ ঘটেছিল সেখানে জমে থাকা মেসে বসবাস করেন। তার বাড়ি পটুয়াখালী জেলায় হলেও তিনি এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ওই এলাকায় ভ্যান চালাচ্ছেন। এই বিস্ফোরণে তিনিও দগ্ধ হয়েছিলেন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।
মিজানুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেছিলেন, "বিস্ফোরণের সময় প্রত্যেকে নফল নামাজ পড়ছিল। হঠাৎ আগুন লাগলে আমরা আটকা পড়ে যাই। '
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক রোগীর আত্মীয় এনামুল বলেছিলেন, "এখন পর্যন্ত আমাদের কোনও ওষুধ কিনতে হয়নি। সবই হাসপাতাল থেকে দেওয়া হয়েছে। তবে, রোগী ভিতরে কীভাবে আছেন তা আমি জানি না। যদি কেউ থাকে তবে ভিতরে থেকে বেরিয়ে আসে, আমি তাকে জিজ্ঞাসা করি। '
পোড়া রোগীর স্বজনরা গত রাত থেকেই উদ্বেগ নিয়ে হাসপাতাল চত্বরে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
এর আগে রাত সাড়ে ৯ টার দিকে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার পশ্চিম তলে বায়তুস সালাম জামে মসজিদে একটি বিস্ফোরণ ঘটে। এতে প্রায় ৪০ জন পুড়ে গেছে। তাদের ধামেক হাসপাতালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন গতকাল এই ঘটনার পরে ডেইলি স্টারকে বলেছেন, ‘গ্যাসের লাইন মসজিদের নীচ দিয়ে গেছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে যে গ্যাস লাইনে ত্রুটির কারণে এই বিস্ফোরণ ঘটেছিল।
0 Comments